শানে নুযুল কাকে বলে ও শানে নুযুল অর্থ কি?
আল কুরআন মহানবী (সাঃ) এর প্রতি একসাথে নাযিল হয়নি। বরং নানা প্রয়োজন উপলক্ষে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অল্প অল্প করে নাজিল হয়েছে। কোনো ঘটনার বিধান বর্ণনায় কিংবা কোনো সমস্যার সমাধানে কুরআনের অংশবিশেষ নাজিল হতো।
শানে নুযুল কাকে বলেঃ-
যে ঘটনা বা অবস্থাকে কেন্দ্র করে আল কুরআনের আয়াত বা সূরা নাজিল হতো সে ঘটনা বা অবস্থাকে ঐ সূরা বা আয়াতের শানে নযুল বলা হয়। যেমন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শিশুপুত্র ইন্তিকাল করলে কাফিররা তাকে অবতার বা নির্বংশ বলে ঠাট্টা বিদ্রূপ করতে লাগল। এ পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহতালা মহানবী (সাঃ) কে সান্ত্বনা দিয়ে সূরা আল কাওসার নাজিল করেন। অতএব, মহানবী (সাঃ) এর প্রতি কাফিরদের উপহাস করার ঘটনাটি সূরা আল কাওসারের শানে নযুল হিসেবে পরিচিত।শানে নযুল জানার উপকারিতাঃ
শানে নযুল জানার উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-১) এর দ্বারা শরিয়তের বিধান প্রবর্তনের রহস্য জানা যায়।
২) আয়াতের অর্থ, উদ্দেশ্য ও সঠিক মর্মার্থ অবগত হওয়া যায়।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
ইসলাম বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।